কানাডিয়ান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা।
কানাডা গড়ে প্রতি বছর 300,000 অস্থায়ী ওয়ার্ক পারমিট ইস্যু করে বিদেশীদের জন্য। কানাডায় কাজ করতে ইচ্ছুক বিদেশী নাগরিকদের সাধারণত ওয়ার্ক পারমিটের প্রয়োজন হয় এবং একটি নিদৃষ্ট আবেদন প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। যারা ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে কানাডা কাজ করতে যায়, তাদের প্রথমেই স্থায়ী বসবাসের অনুমতি দেওয়া হয় না। তবে দুই বছর থাকার পর স্থায়ী বসবাসের আবেদন করা যায়।
কানাডায় দুটি প্রধান প্রোগ্রাম যার মাধ্যমে ওয়ার্ক পারমিট জারি করা হয়, তা হল –
1) টেম্পোরারি ফরেন ওয়ার্কার প্রোগ্রাম (TFWP) ও
2) ইন্টারন্যাশনাল মোবিলিটি প্রোগ্রাম (IMP)।
কানাডিয়ান সরকার যদিও সক্রিয়ভাবে বিদেশীদের কাজের আবেদনের জন্য উৎসাহিত করে, তবুও একজন নিয়োগকর্তার ব্যাখ্যার প্রয়োজন হয় যে, দেশীয় (কানাডিয়ান) কর্মীর পরিবর্তে বিদেশ থেকে নিয়োগের উপযুক্ত কারণ রয়েছে। এই ক্ষেত্রে, নিয়োগকর্তাকে শ্রম বাজারের প্রভাব মূল্যায়নের (লেবার মার্কেট ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট বা LMIA) জন্য আবেদন করতে হয়।
আবার ওপেন ওয়ার্ক পারমিট কানাডার যেকোনো নিয়োগকর্তার জন্য কাজ করার অনুমতি দেয়, তবে সেগুলি শুধুমাত্র, নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে জারি করা হয়। এমন কিছু কাজ রয়েছে যেখানে LMIA-এর প্রয়োজন হয় না, যেমন, দাতব্য বা ধর্মীয় কাজের জন্য।
অস্থায়ী বিদেশী কর্মী প্রোগ্রাম (TFWP) কানাডিয়ান নিয়োগকর্তাদের শ্রমবাজারের ঘাটতি পূরণে বিদেশী কর্মী নিয়োগে সহায়তা করার উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়। TFWP চারটি ধারা নিয়ে গঠিত:
১) উচ্চ-দক্ষ কর্মী,
২) নিম্ন-দক্ষ কর্মী,
৩) মৌসুমী কৃষি কর্মী প্রোগ্রাম এবং
৪) লাইভ-ইন কেয়ারগিভার প্রোগ্রাম।
TFWP এর অধীনে কানাডায় যাওয়ার আগে বিদেশী কর্মীদের অবশ্যই একটি অনুমোদিত কাজের অফার এবং ওয়ার্ক পারমিট ভিসা থাকতে হবে।
● কানাডায় ওয়ার্ক পারমিটের জন্য যারা আবেদন করবেন:
কমপক্ষে ডিপ্লোমা বা এইচ এস সি পাশ ও এক বছরের কাজের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তিরাই আবেদন করা উচিত, প্রার্থীদের অবশ্যই যথেষ্ট ইংরেজি বা ফরাসী ভাষায় দক্ষতা থাকতে হবে।
● আবেনের সময় ও প্রক্রিয়া:
যদিও আবেদন এবং ওয়ার্ক পারমিট ইস্যু করার প্রক্রিয়াটি সাধারণত কয়েক সপ্তাহ সময় নেয়, তবে এমন কিছু পরিস্থিতি থাকতে পারে যেখানে আবেদন প্রক্রিয়া আরও দ্রুত বা বেশি সময় লাগতে পারে। এগুলো আবেদনকারীর জাতীয়তা, কানাডায় তারা যে চাকরি করতে চায় এবং বর্তমান পেশার উপর নির্ভর করে।
● আবেদনের ধাপ সমূহ:
1) সকল শিক্ষাগত যোগ্যতা, ট্রেনিং ও কাজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা পূর্বক একটি প্রফেশনাল সিভি তৈরি করতে হবে।
2) এবার আপনার অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতার সাথে যায় এমন সব জবের জন্য আবেদন করুন, সাথে অবশ্যই একটি কভার লেটার ও পূর্বের কাজের অভিজ্ঞতার সনদ জমা দিতে হবে।
3) নিয়োগকর্তা আপনাকে বিবেচনা করলে জব ইন্টারভিউ এর আমন্ত্রণ জানাবেন। ইন্টারভিউতে আপনার উপস্থাপনা সফল হলে, নিয়োগকর্তা চাকরির প্রস্তাব, শর্তাবলী এবং শর্তাবলীর বিশদ ব্যাখ্যাসহ নির্বাচিত প্রার্থীকে পাঠাবেন। প্রার্থী জব কন্ট্রাক্ট গ্রহণ পূর্বক স্বাক্ষর করে তা নিয়োগকর্তাকে ফেরত পাঠাবেন।
4) নিয়োগকর্তা তা পাবার পর LMIA এর জন্য জমা দিবেন ও তা পাবার পর প্রার্থীকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদনের সকল কাগজপত্র পাঠাবেন।
5) প্রার্থী নিজ দায়িত্বে ভিসার জন্য আবেদন করে, যথা সময়ে কাজে যোগদান করবেন।
আপনি যদি কানাডায় ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন করতে আগ্রহী হন, তবে আজই এক্সিওম এর সাথে যোগাযোগ করুন, এক্সিওম আপনার হয়ে উপরোক্ত সকল কাজ একশোভাগ পেশাদারিত্বের সহিত সম্পন্ন করে থাকে।
● কেন এক্সিওম এর মাধ্যমে আবেদন করবেন?
👍 এক্সিওম এর ২০ বছরের বেশি প ইমিগ্রেশন এক্সপার্ট টিম – আপনার আবেদনের প্রতিটি পর্যায়ে, √ সঠিক প্রোগ্রাম নির্বাচন, √ প্রফেশনাল সিভি তৈরি, √ চাকরির আবেদন, √ ইন্টারভিউ প্রস্তুতি, √ ভিসা আবেদন, √ টিকেট, √ কানাডায় প্রাথমিক থাকার ব্যবস্থাসহ সকল ক্ষেত্রে সঠিক তথ্য ও সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করে।
👍 এক্সিওম ২০০৩ সাল থেকে নিজস্ব স্থায়ী অফিসের মাধ্যমে ৫০০০ এর বেশি বাংলাদেশী শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারকে বিদেশে চাকরি, স্থায়ী বসবাস, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি, ভিসা সাপোর্ট ও ভ্রমণ ভিসায় সেবা দেওয়ার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে।
● কানাডায় আপনার বা আপনার সন্তানের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, ইমিগ্রেশন ভিসা, স্টডি পারমিট ভিসা বা ভিজিট ভিসার আবেদনের জন্য এক্সিওম এর অভিজ্ঞ পরামর্শকের সাথে ফ্রী পরামর্শ ও সাক্ষাতের করতে এখনই এপয়েন্টমেন্ট করুন।